বাজারে শীতের সবজি যথেষ্ট পরিমাণ থাকার ফলে স্বস্তি ফিরেছে কাঁচাবাজারে। তবে বেড়েছে তেলের দাম।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) উখিয়ার কোটবাজার কাঁচাবাজার, মরিচ্যা কাঁচাবাজার, উখিয়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে তেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ৮ টাকা।
বর্তমানে একশো টাকায় ব্যাগভর্তি কাঁচাবাজার পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ টাকা দরে। যা দুই সপ্তাহ আগেও ২শ টাকা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, আলু ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, মুলা- ১৫ টাকা, ফুলকপি ৩০টাকা, দেশি শিম ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শশা-৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা প্রতি কেজি।
এছাড়া চালের দোকেনে গিয়ে সহনীয় অবস্থায় দেখা যায় চালের দাম। কোর্টবাজারের স্থানীয় এক খুচরা চাল ব্যবসায়ী বলেন, ধানের দাম হিসেব করে চালের দাম নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে মুদির দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, রূপচাঁদা, ফ্রেশ ও তীর তেলসহ সকল সয়াবিন তেল আগে ছিলো ১৬৭ টাকা। সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে দাম ৮টাকা বেড়ে বর্তমান মূল্য ১৭৫ টাকা। সরিষার তেল পাইকারি ছিলো ২১০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে কেজি প্রতি ১০ টাকা বাড়ায় ২২০ টাকা কিনতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের।
নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে ও শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় কাঁচাবাজারের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে সয়াবিন ও সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তবে স্থানীয় সুশীলরা মনে করছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার তেলের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে ভোজ্য তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) যারীন তাসনিম তাসিন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সহ অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে উখিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে বাজার মনিটরিং করেন। এসময় বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন তিনি।
পাঠকের মতামত